মাদারীপুর প্রতিনিধি :
মাদারীপুরের শিবচরে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার প্রাথমিকভাবে রহস্য উদঘাটন শেষে পুলিশ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে। রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, গত শুক্রবার ৩ মার্চ রাতে ওই গৃহবধূ নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। সকালে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিবচর থানায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে একই এলাকার নুরু কাজীর ছেলে আতিয়ার কাজীকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, আতিয়ার গৃহবধূর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যমতে, এলাকার তোতা মোল্লার ছেলে শহীদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে আরও একজন জড়িত আছেন বলে জানিয়েছেন তারা।’
মাসুদ আলম বলেন, অভিযুক্তদের তথ্যমতে ‘আতিয়ারের সঙ্গে ওই গৃহবধূর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। প্রায়ই আতিয়ারের কাছ থেকে টাকা নিতেন। একপর্যায়ে আতিয়ারের স্ত্রী বিষয়টি জেনে গেলে তাদের সংসারে কলহের সৃষ্টি হয়। এ কারণে আতিয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে ওই গৃহবধূকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে ওই গৃহবধূকে প্রথমে ধর্ষণ করেন আতিয়ার। পরে পালাক্রমে আরও দুজন ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে তিনজনে মিলে ওই গৃহবধূকে হত্যা করে পালিয়ে যান।’