Take a fresh look at your lifestyle.

আইন মেনে না চললে পুলিশের একার পক্ষে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিন

0

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম :

সড়ক দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যুবরণ বা পঙ্গুত্ববরণ তা কখনো কারো কাম্য নয়। ওভার টেকিং, ওভার লোড ও ওভার স্পিড সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। নিরাপদ সড়ক উপহার দেয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালানোর কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। যাত্রী, চালক ও পথচারীদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রেখে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে রেখে গাড়ি চালাতে হবে। ট্রাফিক সাইন জেনে আইন মেনে গাড়ি চালালে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
সোমবার ১২ সেপ্টেম্বর নগরীর বিআরটিসি বাস স্টেশন সংলগ্ন আন্তঃজিলা বাস মালিক সমিতির সম্মেলন কক্ষে ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ আয়োজিত সড়ক নিরাপত্তা ও সড়ক শৃঙ্খলা বিষয়ক বাস চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিন এই সব কথা বলেন।
হাইওয়ের তুলনায় শহরে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কম হলেও পুলিশের একার পক্ষে যানজট নিরসন, সড়ক দূর্ঘটনা রোধ ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় জানিয়ে আরো বলেন, আবার দুর্ঘটনার জন্য শুধু গাড়ির চালক-হেলপারদের দায়ী করলে হবেনা। যিনি গাড়ির মালিক তাকে এবং পথচারীদেরকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। সড়কে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার আগে ইঞ্জিন, ইঞ্জিন ওয়েল, ব্রেক, চাকা ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ ঠিক আছে কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। নিজেরা সচেতন না হলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব নয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিন আরও বলেন, মোটরযান আইন, ট্রাফিক সাইন ও ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশ মেনে গাড়ী চালাতে হবে। মাদক সেবন বা চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ী চালানো যাবেনা। যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠা-নামা, সড়ক দখল করে গাড়ি পাকিং, অযথা হর্ণ বাজানো, একটানা ছয় ঘন্টার বেশি সময় ধরে গাড়ি চালানো, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ও হেডফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, ধর্মীয় স্থাপনা ও দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় সাবধানে গাড়ি চালাতে হবে। শহর এলাকায় হাইড্রোলিক হর্ণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, ছাত্র-ছাত্রী, রাস্তা ব্যবহারকারী, সড়কে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে আগে কে যাবে এ ধরনের মনোভাব পরিহার করতে হবে। গাড়ি-চালক-হেলপারসহ সকলে সচেতন হলে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসলে দুর্ঘটনা অনেকটা হ্রাস পাবে। যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই তাদেরকে প্রশিক্ষণ শেষে লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। দুর্ঘটনা এড়াতে পথচারীদেরকে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে হবে।
সিএমপি ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ রইছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও টিআই (প্রশাসন) অনিল বিকাশ চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের সভাপতি মৃনাল চৌধুরী, আন্তঃজিলা বাস মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টিআই-(সদরঘাট) মাবিয়ান মিয়া, টিআই (কোতোয়ালী) জিয়াউল হাসান ও সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত। শতাধিক বাস চালক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.