এই বছরই ১০ কোটি মানুষকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার লক্ষ্য সরকার ঠিক করেছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেছেন, “আমাদের জীবন ও জীবিকা সচল রাখতে টিকা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। এই বছরের মধ্যে ১০ কোটি লোককে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আমদানি প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন।”
বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় একথা বলেন তিনি।
আট দিনে ১ কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দিতে আগামী ৭ অগাস্ট থেকে যে গণটিকাদান কর্মসূচি সরকার নিয়েছে, তা সফল করতে দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, দেশের ১৪ হাজার টিকা কেন্দ্রে এক কোটি মানুষকে টিকা প্রদান করা হবে। গণটিকাদান কর্মসূচি যাতে সফলভাবে সমাপ্ত হয়, এজন্য দলীয় এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সারাদেশে প্রচার চালাতে হবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সব মানুষকে যে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে, তা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সকলকেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই অবস্থায় সকলের প্রতি আহ্বান, সরকারের বিধি-নিষেধ মেনে চলুন।”
শোকাবহ অগাস্টে মাসব্যাপী নেওয়া সীমিত কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালনের জন্য দলের সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা থাকার ‘নতুন তথ্য’ বিভিন্ন মাধ্যমে উঠে আসছে।
“১৯৭৬ সালের ২ অগাস্ট যুক্তরাজ্যের আইটিভিতে প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে একটি সাক্ষাৎকারে মেজর ফারুক বঙ্গবন্ধু হত্যকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। কর্নেল ফারুকের স্বাক্ষরে সানডে টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধেও জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার কথা উঠে আসে। এছাড়া মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুজের একটি বইয়ে বঙ্গবব্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়ার সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরা হয়।”
পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্টের পর দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার ‘কলঙ্কের বোঝা’ বহন করতে বাধ্য হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।