করোনা প্রতিরোধে চলমান কঠোর লকডাউনের সপ্তম দিনেও প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বের হচ্ছেন অনেকেই। এতে আটকের পাশাপাশি অনেকের জরিমানাও গুনতে হয়েছে।
জেলা শহরসহ উপজেলাগুলোর সড়কেও বেড়েছে যানবাহনের চাপ। স্ব-উদ্যোগে সচেতন না হলে এই বিধিনিষেধের সুফল পাওয়া যাবে না বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সড়ক-মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর টহল আর কড়া নজরদারির মধ্যে সপ্তম দিনেও বিধিনিষেধ না মানতে দেখা গেছে বিভিন্ন জেলায়। বের হওয়ার অযৌক্তিক কারণে প্রতিদিনই করা হচ্ছে জেল-জরিমানা, থাকছে নানা দণ্ড। তারপরও বন্ধ হচ্ছে না অযাচিত ঘোরাফেরা।
রংপুরে গত কয়েক দিনের তু্লনায় যান চলাচল বুধবার অনেকটাই বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে দেখা যায় সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশকে।
রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মাহমুদুল হাসান মৃধা জানান, লকডাউনে যেসব দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা, সেগুলো বন্ধ আছে কি আমরা দেখছি। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষ বাইরে বের হলেও মাস্ক ব্যবহার করে কিনা। সে বিষয়েও আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও বিধিনিষেধ অমান্য করে মানুষ নানা অজুহাতে বাইরে চলাচল করছেন। লকডাউন মানাতে নগরীর চাষাঢ়াসহ বিভিন্ন স্থানে ২০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।
Related Posts
এক পথচারী জানান, মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলাম, তাই মাস্ক খুলে রেখেছি।
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে চলে তল্লাশি। অকারণে বের হওয়া প্রত্যেককেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর।
বিধিনিষেধ মানাতে দ্বীপ জেলা ভোলায় ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে প্রশাসনের। সকাল থেকেই সড়কে অভিযানে নামে ১৯ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে চলছে সচেতনতা কার্যক্রম।
এছাড়া, বরিশাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, ঝালকাঠি, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছেন সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। এসময় সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানানো হয়।