টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভার নাগবাড়ী এলাকায় ঘরের ধর্নার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাস দিয়ে মিনারা(২৩) নামের এক গৃহবধুর রহস্য জনক মৃত্যুর ঝুলন্ত লাশ সোমবার(২১ জুন) বিকেলে উদ্ধার করেছে পুলিশ।গৃহবধু মিনারা পৌরসভার নাগবাড়ী এলাকার মৃত আছর আলীর ছেলে আলামিন এর স্ত্রী।মিনারা উপজেলার গাছাবাড়ী এলাকার চান মিয়ার মেয়ে।
প্রায় পাচ বছর পূর্বে তাদের বিবাহ হয়।তাদের ঘরে তিন বছরের মিথুন নামের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,মিনারা সকালে রান্নাবান্না করে খাওয়া দাওয়া করেছে।তার শাশুড়ী মাজেদা জানায়,দুপুরের দিকে মিনারা তার ছোট শিশু ছেলে মিথুনকে তার কাছে দিয়ে তাকে দোকানে পাঠা্য় কিছু কিনে দেয়ার জন্য।
দোকান থেকে এসে পুত্র বধু মিনারাকে ডাকাডাকি করে কোথাও না পেয়ে খোজা খুজি করে।খোজা খুজির এক পর্যায়ে তার ছোট ছেলের ঘরের ধর্নার সহিত গলায় ওড়না পেচানো ঝুলন্ত অবস্হায় দেখতে পেয়ে ডাকচিৎকার করলে বাড়ীর লোকজন এসে দেখে মিনারা ঘরের ধর্নার সহিত গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্হায় আছে।
স্হানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ( মধুপুর সার্কেল) শাহীনা আক্তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্হলে যান এবং লাশ ঝুলন্ত অবস্হায় দেখতে পায়।পরে লাশটি নামিয়ে সুরতহাল রেকর্ড করেন।এদিকে মিনারার বাড়ীর লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্হলে আসে।মিনারার পিতা চান মিয়া জানান,আমার মেয়ে গলায় ফাস দিয়ে আত্বহত্যা করেনি তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
আমার জামাতা আল আমিন প্রায়ই আমার মেয়েকে নির্যাতন করত।আল আমিন আমার মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে দাবী করেন মিনারার পিতা চান মিয়া পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মধুপুর থানায় নিয়ে আসে।পরে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ মিনারার স্বামী আলামিনকে থানায় নিয়ে আসে।
এব্যাপারে সিনিয়রসহকারী পুলিশ সুপার ( মধুপুর সার্কেল) শাহীনা আক্তার সাংবাদিকদেরকে জানান পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট এলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।