Take a fresh look at your lifestyle.

রমজান মাসজুড়েই নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি

0

পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে তুলনামূলক স্বস্তিতে রয়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। প্রতি সপ্তাহেই পণ্যের দাম কমে আসছে। এই সপ্তাহে অন্তত আট ধরনের নিত্যপণ্যের দাম কমেছে। দাম বাড়তির তালিকায় আছে হাতে গোনা দু-একটি পণ্য। শুক্রবার (১৫ মে) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

রাজধানীর মানিক নগর এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী বলেন, ‘অন্য যেকোনও বছরের তুলনায় এবারের রোজায় পণ্যের বাজারে বেশ কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করছে।’ তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে পণ্যের সংকট হতে পারে, এমন ধারণা করে অনেকেই রোজার আগে চাহিদার তুলনায় বেশি পণ্য কিনেছেন। যে কারণে পুরো রোজার মাসজুড়েই অধিকাংশ পণ্যের দাম কমে আসছে।’

নিত্যপণ্যের বাজার (ছবি: ফোকাস বাংলা)এ প্রসঙ্গে মানিক নগর এলাকার বাসিন্দা তোফাজ্জল আলী বলেন, ‘এবার রোজা শুরুর আগে পণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছিল, তাতে মানুষের মধ্যে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে ভয় ও আতঙ্ক ছিল।’ চালের দাম কমে আসায় মানুষের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি’র হিসাবে, গত এক সপ্তাহে মাঝারি মানের চালের (পাইজাম ও লতা) দাম কমেছে ৫ শতাংশ। আর মোটা স্বর্ণা ও চায়না ইরি চালের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। নাজির শাইল ও মিনিকেট চালের দাম কমেছে ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহের তুলনায় মশুর ডালের (বড় দানা) দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা। গত সপ্তাহে যে ডাল বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা, শুক্রবার সেই ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি দরে। টিসিবি’র হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই ডালের দাম কমেছে ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।

সাধারণত, ঈদকে সামনে রেখে দারুচিনি, ধনে, তেজপাতা, হলুদসহ সব ধরনের মসলার দাম বাড়ে। কিন্তু এবার জিরার দাম এখন কিছুটা কমেছে। আর অন্যগুলোর দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

নিত্যপণ্যের বাজার (ছবি: ফোকাস বাংলা)

গত এক সপ্তাহে বাজারে রসুনের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। দেশি এক কেজি রসুন এখন ১০০ টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে। কমেছে পেয়াঁজের দামও। গত দুই দিনের ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে পাঁচ টাকা, আর মাসের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৫-৫০ টাকা। আর এক মাস আগে ছিল ৫০-৫৫ টাকা। অপরদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং এক মাস আগে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। টিসিবির হিসাবে, দেশি পেঁয়াজের দাম সপ্তাহে ও মাসের ব্যবধানে কমেছে ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দামিএক মাসের ব্যবধানে কমেছে ১৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশিরভাগ ক্রেতা রোজার শুরুতে বেশি করে পেয়াঁজ কিনে রেখেছেন। যে কারণে এখন পেঁয়াজের চাহিদা কমে এসেছে। ফলে দামও কমে গেছে।

নিত্যপণ্যের বাজার (ছবি: ফোকাস বাংলা)আর সাত দিনের ব্যবধানে জিরার দাম কেজিতে কমেছে ৫০ টাকা। এখন জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি দরে।

কমেছে ছোলার দামও। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও ছোলার দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা। এখন ৬৫ টাকাতে এক কেজি ছোলা পাওয়া যাচ্ছে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা শুকনা মরিচের দাম কমেছে ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া ৩৫০ টাকা কেজি শুকনো মরিচ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে। এছাড়াও পাম ও সয়াবিন তেলের দামও কমেছে।

কাঁচাবাজার (ছবি: ফোকাসবাংলা)এদিকে কাঁচাবাজারের চিত্র তুলনামূলকভাবে স্বাভাবিক রয়েছে। শুক্রবার কাকরোলের কেজি বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এটিই এখন বাজারের সব চেয়ে দামি সবজি। এছাড়া, শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিংগা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.